গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে কোনো একটি ম্যাসেজ বা তথ্যকে সৃজনশীলতা দিয়ে রঙ, রেখা ও বিভিন্ন সেপের মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরা। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যাতিত পুরো মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টই অচল। এর কারনও বিদ্যমান চোখের সামনেই। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য যা যা দরকার একটা কোম্পানির, তার বেশির ভাগই বানায় গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা। এছাড়াও ব্যানার, পোষ্টার, বিলবোর্ড, সোশ্যাল মিডিয়া কভার ফটো, টেলিভিশন কমার্শিয়াল, ইত্যাদির সবকিছুই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের ভেতরে পড়ে। বর্তমান বিশ্বে ভিজুয়াল কনটেন্ট সব থেকে বেশি পপুলার হচ্ছে। সাথে সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইনও অনেক বেশি চাহিদাপূর্ণ হয়ে উঠছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ওয়েবসাইটের কাজের জন্যে এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এটি ব্র্যান্ডের ধারাবাহিকতা তৈরি করতে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যোগাযোগ করতে, বিক্রয় বাড়াতে এবং বিশ্বাস ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিজ্যুয়াল আপিল ভোক্তাদের আচরণকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উচ্চ-মানের গ্রাফিক ডিজাইনের সম্ভাব্য গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করার ক্ষমতা রয়েছে, যা তাদের আপনার পণ্য বা পরিষেবাগুলির সাথে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি করে তোলে।
একটি ভালো লোগো আপনার ব্যাবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। লোগো হচ্ছে একটি ব্র্যান্ডের পরিচয়-চিহ্ন। কোনো কোম্পানী বা ব্র্যান্ডের শুধু নামই তার পরিচিতি ও প্রচারের জন্যে যথেষ্ট নয়। একইরকম ক্যাটাগরির বিপুল সংখ্যক কোম্পানী রয়েছে এবং তার মধ্যে অনেকগুলোই প্রায় একইরকম। একটি পাওয়ারফুল লোগোই পারে এসকল অসংখ্য কোম্পানীর মধ্য থেকে আপনার কোম্পানীকে ক্লায়েন্টের কাছে আলাদাভাবে তুলে ধরতে। লোগো ছাড়া বিজনেস যেন অসম্পূর্ণ।কিন্তু তাই বলে যেমন খুশী একটা লোগো বেছে নিলেই হবে না। তাই লোগোটি হতে হবে ইউনিক, প্রাসঙ্গিক, আকর্ষণীয় ও সহজবোধ্য।আপনার কাস্টমাররা শুধু আপনার কোম্পানির নামেই আপনার কোম্পানিকে চিনবে না বরং আপনার কাস্টমাররা আপনার কোম্পানির বা ব্র্যান্ডের লোগো দেখেও চিনবে।লোগোর মাধ্যমে আপনার কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালু আরো বৃদ্ধি করতে পারবেন।আপনি যখন কোন ব্যাংকে আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যাবেন তখন আপনার প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির প্যাডে আবেদন করতে হবে যেখানে একটি লোগো থাকা বাঞ্ছনীয়।
বর্তমান সময়ে মার্কেটিং এর সফল এবং জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ( ফেসবুক/ ইন্সটাগ্রাম/ লিংকডইন মার্কেটিং) । আর সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে মার্কেটিং করে সফলতা লাভ করতে হলে ভাল মানের কন্টেন্ট ডিজাইনের কোন বিকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন বর্তমান সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে শিক্ষা, ব্যবসা, বিজনেস প্রমোশন, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির প্রচারণা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ার এর ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন করাটাও অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এজন্যই এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকেই তাদের সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে প্রফেশনাল ডিজাইনারদের মাধ্যমে আরও আর্কষণীয় ও ইউজার ফ্রেন্ডলি করে ডিজাইন করিয়ে নিচ্ছেন। এর ফলে তাদের অডিয়েন্স এনগেজমেন্ট প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১। আমরা প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর বেস্ট প্র্যাকটিস অনুসরণ করে ডিজাইন করে থাকি।
২। লো টেক্সট পলিসি অনুসরণ করে ডিজাইন করা হয় যেন অ্যাড দিয়ে আপনি ভালো রেসাল্ট পান।
৩। মোবাইল অপ্টিমাইজড ডিজাইন করা হয় কারণ ৮৫% এর বেশি মানুষ মোবাইল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং। কন্টেন্ট হচ্ছে এমন একটি ইনফো বা ইনফর্মেশন যা কাস্টমারের সাথে ব্র্যান্ড বা সার্ভিসের কানেকশন বিল্ড আপ করে থাকে। আপনি আপনার কাস্টমারের কাছে রিচ করার সবচাইতে কার্যকরী মাধ্যম হচ্ছে কন্টেন্ট। ভালো মানের কনটেন্ট ছাড়া কোনভাবেই ব্র্যান্ড বিল্ড আপ করা সম্ভব নয়। তাই একজন মার্কেটারদের ক্ষেত্রে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর বিকল্প নেই। বর্তমান সময়ে কন্টেন্ট কে কিং বলা হয়, কারণ ডিজিটাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট এর মাধ্যমেই মানুষজন ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলোতে আরো বেশি সময় এঙ্গেজড হচ্ছে।
কন্টেন্ট বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আপনার বিজনেস যদি টি-শার্ট সেলিং নিয়ে হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার কাস্টমারদের জন্যে যদি টি-শার্ট ডিজাইন নিয়ে একটি ভিডিও বা ইমেজ তৈরি করেন, তখন সেটি আপনার কাস্টমারের জন্যে একটি কন্টেন্ট।
এক কথায় কন্টেন্ট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি মার্কেটিং স্ট্র্যাটের্জি, যার মাধ্যমে কাস্টমারদের সাথে কমিউনিকেশন, বিজনেস মার্কেটিং এবং নতুন কাস্টমারদের সাথে রিলেশন বিল্ড আপের জন্য অফার, ডেইলি অ্যাক্টিভিটি, ইন্টারেস্ট বা কাস্টমারের সাথে বিজনেস রিলেটেড সাবজেক্ট নিয়ে নানান ধরনের ব্লগ, ভিডিও, ছবি, অডিও তৈরি করা, এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্লাটফর্মে তা শেয়ার করা।
আজকের দিনে আপনার চারপাশে যে দিকেই তাকান না কেন, কোন না কোন পোস্টার অবশ্যই দেখতে পাবেন। এর থেকে বোঝা যায় বর্তমানে পোস্টার ডিজাইন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক যুগে এসেও মানুষ যে কোনো অনুষ্ঠান, সচেতনতা বা অন্যান্য ক্ষেত্রে পোস্টারের উপরেই সবচেয়ে বেশি নির্ভর করছে। তাইতো যে কোন উৎসব-অনুষ্ঠান, সচেতনতা বা নির্বাচন হলেই সাদা-কালো ও রঙিন পোস্টারে ছেয়ে যায় আমাদের শহর, গ্রাম-গঞ্জ, বাজার গুলো।
তবে সময়ের সাথে সাথে কাগজে পোস্টারের ধারনা পাল্টে এখন এসেছে ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুন, বিলবোর্ড ইত্যাদি। কিন্তু পক্ষান্তরে এগুলো কাগজে পোস্টারের আধুনিক রূপ মাত্র। তাই বলা যেতে পারে পোস্টার ডিজাইন এর গুরুত্ব পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় কমে যায়নি বরং এর আধুনিকায়ন হয়েছে।
এমনিভাবে ভবিষ্যতেও পোস্টার ডিজাইন অনলাইন মার্কেটিংয়ের একটি বড় অংশ দখল করে থাকবে। আজকের ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদিতে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুল ব্যবহৃত একটি জিনিস হল ডিজিটাল পোস্টার। তাই বলা বাহুল্য, পোস্টার ডিজাইন এর গুরুত্ব কখনো কমবে না বরং এর ব্যবহারের ধরণ ও প্লাটফর্মের ভিন্নতা দেখা দিতে পারে।
আমরা একটু নজর দিলেই দেখবো চারপাশে দোকান বা সুপার শপগুলি খুব জাকজমক ভাবে সাজানো থাকে। কিন্তু কেন তা কিন্তু আমরা কখনোই ভেবে দেখি না। খেয়াল করুন ক্রেতারা তখন ই আপনার পণ্য বা শপ এ ইন্টারেস্টেড হবে যখন আপনার পণ্য বা শপ দেখার সাথে সাথেই তাদের কাছে পণ্য বা শপটি আকর্ষণীয় বা প্রিমিয়াম কোয়ালিটি এর মনে হবে। কাস্টমার কিন্তু সবাই দূর থেকে আপনার পণ্যের কোয়ালিটি তেমন বুঝতে পারবে না সুতরাং তাদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রথমেই আপনাকে প্যাকেজিং আকর্ষণীয় ও প্রিমিয়াম কোয়ালিটি এর হতে হবে। আর এছাড়াও প্যাকেজিং যত ভালো হবে আপনার কাস্টমার আপনার পণ্যের উপর বিশ্বস্ততা তত বেশি হবে। তাই যে কোনো পণ্য এ বাজারজাত করার আগে প্যাকেজিং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আপনার ব্যবসার পণ্য বা ব্র্যান্ড মার্কেটিং করার জন্য সর্বোত্তম প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি হলো ব্রুচার ডিজাইন। ব্রুচার এ আপনি আপনার সকল পণ্যের ডিটেলস খুব সহজেই তুলে ধরতে পারবেন। আমরা চারপাশে তাকালেই দেখতে পাই অনেক জায়গায় লিফলেট বিতরণ করে। আপনি আপনার ব্যবসাকে অন্যের কাছে উপস্থাপন করতে চাইলে ব্রুচার এর কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং ব্রুচারটি আপনাকে খুবই আকর্ষণীয় করে ডিজাইন করতে হবে। আমরা সাধারণত ৬ ধরণের ব্রুচার বা লিফলেট দেখতে পাই।
অনলাইন ব্যবসা কে সফল করতে সকল ধরণের IT সম্পর্কিত কাজ করে IT Cure BD .আমাদের অভিজ্ঞ টীম ব্যবসাকে টেকসই করতে সকল সার্ভিস প্রদান করে যেমন: ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন , ওয়েব ডিজাইন সার্ভিস ইত্যাদি। আপনার ব্যবসা Established হোক বা Startup আমরা আপনার ব্যবসাকে নেক্সট লেভেল এ নিয়ে যেতে পারি।
কপিরাইট © IT Cure BD 2025 All Right Reserved